কক্সবাজারে কড়াকড়ি, রোহিঙ্গাদের অন্য জেলায় গিয়ে ভোটার হওয়ার জন্য মরিয়া
ডেক্স নিউজ
শুধুমাত্র নীলফামারী সদর উপজেলা থেকেই ভোটার হয়েছেন ১৯ জন রোহিঙ্গা। নির্বাচন কমিশনের করা এক তদন্তে এক জরিপে এটি উঠে এসেছে।
কমিশন সূত্র জানাযায়, অর্থের বিনিময়ে দালালচক্র রোহিঙ্গাদের ভোটার বানানোর কাজে সহায়তা করে।রোহিঙ্গা অধুসিদ্ধা কক্সবাজারে কড়াকড়ি আরোপ থাকায় অন্যান্য জেলাগুলোতে গিয়ে তারা ভোটার হওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে প্রতিনিয়ত। সম্প্রতি একটি তদন্তে শুধুমাত্র নীলফামারী সদর উপজেলাতেই অনেক রোহিঙ্গা ভোটার হওয়ার তথ্য পাওয়া যায়। এ ঘটনার পর দালালসহ ভোটার হতে আসা কয়েকজন রোহিঙ্গাকে পুলিশের হাতে তুলে দেয়া।
নীলফামারী জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন এ বিষয়ে গণমাধ্যমে জানায়, একজন রোহিঙ্গা ভোটার ধরা পড়ার পর একটি তদন্ত করা হয়। চলতি বছরের সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বর মাস পর্যন্ত সময়ে নীলফামারী সদর উপজেলায় যারা ভোটার হয়েছেন তাদের তথ্য যাচাই-বাছাই করার জন্য বাড়ি বাড়ি যাওয়া হয়। এ সময় ১৯টি ভুয়া ভোটার পাওয়া যায়। এগুলো রোহিঙ্গা ভোটার হিসাবেই মনে করা হচ্ছে।
রংপুর জেলার রংপুর আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ আজিজুল ইসলাম জানতে চাইলে এ বিষয়ে বলেন, প্রথমে ১ জন রোহিঙ্গা ভোটারকে আইডেন্টিফাইড করা হয়। পরবর্তীতে ফাঁদ পেতে আরও চার জনকে ধরা হয়েছে। তাদেরকে পুলিশে দেয়া হয়েছে।
তাছাড়াও একটি তদন্তে ১৯ জন রোহিঙ্গা ভোটারের তথ্য পাওয়া যায়। সংশ্লিষ্ট নির্বাচন অফিসের কর্মকর্তারা এর দায় এড়াতে পারে না বলেও জানানো হয়।