২৫শে মে, ২০২৫, ২৬শে জিলকদ, ১৪৪৬
সর্বশেষ
টেকনাফে সেবা প্রার্থী মহিলাদের প্রকাশ্যে ইউপি সচিবের মারধর: বহিস্কারের দাবী স্থানীয়দের
আওয়ামী লীগের কৃষক লীগ নেতা গ্রেপ্তার
মায়ানমার পাচারকালে বিপুল পরিমাণ সিমেন্টসহ ৫ পাচারকারী আটক
টেকনাফে কোস্ট গার্ড ও পুলিশের যৌথ অভিযানে   দেশী বিদেশি ৬ টি অস্ত্র,২ টি ম্যাগাজিনসহ ৯৭৫ রাউন্ড তাজা গুলি উদ্ধার
যাদের জন্য কুরবানি ওয়াজিব
বিএনপির জন্ম না হলে দেশে বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবর্তন হত না: সালাহউদ্দিন আহমদ
টেকনাফে অস্ত্র ইয়াবাসহ আটক ৩
এক সপ্তাহের আলটিমেটাম দিলেন বিএনপি হাসনাত আব্দুল্লাহকে
কক্সবাজার সাংবাদিক ইউনিয়নের নির্বাচনে ভোট গ্রহণের উপর স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার
প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে দেশের সমুদ্র উপকূলও তীরবর্তী এলাকাগুলোতে বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের গৌরবগাঁথা সাফল্য
চকরিয়ায় একাধিক মামলার আসামি যুবলীগ নেতা গ্রেপ্তার
নেপালকে হারিয়ে ফাইনালে বাংলাদেশ
ইসলামী জীবন ব্যবস্থায় রয়েছে বৈষম্যহীন সমাজের রূপরেখা: অধ্যক্ষ মাওলানা নুর আহমদ আনোয়ারী
বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির টেকনাফ উপজেলা সাবরাং ইউনিয়নের সেরা মেধাবী শিক্ষার্থী সংবর্ধনা”২৫ অনুষ্ঠিত
সাবেক মন্ত্রী উবায়দুল মোকতাদির ও তার স্ত্রীর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

সেন্টমার্টিন রক্ষার নামে ধ্বংসের প্রতিযোগিতায় মেতেছে

সেন্টমার্টিন রক্ষার নামে ধ্বংসের প্রতিযোগিতায় মেতেছে

আব্দুর রহমান হাশেমী,কক্সবাজার থেকে

অপূর্ব প্রাকৃতিকর সৌন্দর্য ও বৈচিত্র্যে ভরপুর দেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিন এখন চরম সংকটময়ে পর করছে। পরিবেশ রক্ষার নামে সরকার ও প্রশাসনের কৌশলগত উদাসীনতা, আর প্রভাবশালী মহলদের দখলদারি মিলে দ্বীপটির প্রাকৃতিক ভারসাম্য বিপন্ন করছেন।

বিগত ৩ বছরে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের ছোট ছোট স্থাপনা, দোকানপাট উচ্ছেদ করে প্রভাবশালীদের দখলে দেওয়া হয়। একই স্থানে প্রায় দেড় শতাধিক অবৈধ হোটেল ও কটেজ গড়ে তোলেন এই প্রভালশালীরা।

এ বিষয়ে স্থানীয়দের কাছ থেকে জানতে চাইলে তারা বলন, প্রশাসনের একের পর এক ‘ঢাকঢোল পেটানো’ অভিযানের নামে লোক দেখানো কার্যক্রম চলে। দ্বীপের কেয়াবন ধ্বংস করে বহুতল ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে। এমনকি সরকারি সংস্থাগুলোও পরিবেশ আইন লঙ্ঘন করে বহুতল ভবন নির্মাণে যুক্ত হয়েছে।
গত তিন বছরে দেড় শতাধিক ইট-পাথরের স্থাপনা : বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের ব্যাপক প্রভাব পড়েছে এই দেশের একমাত্র প্রবালদ্বীপ সেন্টমার্টিনে। সরকারের পক্ষ থেকে সেন্টমার্টিন রক্ষায় নানা বিধিনিষেধ ও কঠোরভাবে তা প্রয়োগের কথা বলা হলেও বাস্তবতা বলছে ভিন্ন কথা। গত ৩ বছরে দেড় শতাধিক অবৈধ হোটেল, কটেজ ও স্থাপনা গড়ে তোলা হয়েছে। সোমবার সরেজমিন গিয়ে সৈকতের উত্তর অংশে দ্বীপ রক্ষার সারিবদ্ধ বিশাল কেয়াবনের কোনো অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায়নি। সৈকতের বিশাল জায়গা দখল করে নির্মাণ করা হয়েছে বিলাসবহুল হোটেল প্রাসাদ প্যারাডাইস, সি-হেভেন এবং পুলিশের বিশাল ভবন। এসব স্থাপনা নির্মাণে সৈকত দখলের পাশাপাশি কেয়াবন উজাড় করা হয়েছে। কেয়াবন দ্বীপের প্রাকৃতিক রক্ষাবলয় হিসাবে কাজ করে।

বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) কক্সবাজার জেলার সাধারণ সম্পাদক কলিম উল্লাহ বলেন, সেন্টমার্টিন রক্ষার নামে প্রশাসন ও প্রভাবশালীরা ধ্বংসের প্রতিযোগিতায় মেতে উঠেছে। একদিকে স্থাপনা উচ্ছেদের নামে প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে ছোট ছোট ঝুপড়িঘর ও দোকানপাট উচ্ছেদ করা হচ্ছে। অন্যদিকে, একই স্থানে বড় বড় ভবন নির্মাণের সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। গত ৩ বছরে এখানে দেড় শতাধিক বহুতল ভবন গড়ে উঠেছে। কলিম উল্লাহ আরও উল্লেখ করেন, পরিবেশ অধিদপ্তর, বিজিবি, পুলিশ ও কোস্টগার্ডও এখানে ভবন নির্মাণে জড়িত। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে যেন ভবন নির্মাণের এক প্রকার প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে।

শেয়ার করুনঃ