
কক্সবাজারে খালি নেই হোটেল-মোটেল, সৈকতে উপচে পড়া ভীড়
আব্দুর রহমান হাশেমী, কক্সবাজার
টানা চারদিন ছুটি পেয়ে ভ্রমন পিপাসু মানুষ ছুটে এসেছে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে। খালি নেই হোটেল মোটেল জোনের কোন রুম।সৈকতের যেদিকে চোখ যায় সেখানে শুধু মানুষ আর মানুষ। দেশের পর্যটনের রাজধানী খ্যাত এই কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত। বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত এই সময়টি পর্যটকদের পদভারে মুখরিত থাকে। ডিসেম্বর-জানুয়ারি সময়টা শীতের প্রকোপ বাড়ার পাশাপাশি সরকারও ছুটি, শিক্ষার্থীদের বার্ষিক পরীক্ষা শেষ হওয়া সব মিলিয়ে ঘুরে বেড়ানোর চরম সময় এটিই। তাইতো মানুষ উন্মুখ থাকে বছরের এই সময়টিতে ঘুরে বেড়ানোর জন্য। দেশের ভ্রমন পিপাসু মানুষের প্রথম চাহিদা কক্সবাজার সমুদ্রের বালিয়াড়ি। সমুদ্র সৈকতের পাশাপাশি রয়েছে দেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিন। আছে ভার্জিন দ্বীপ সোনাদিয়া, দৃষ্টিনন্দন মেরিন ড্রাইভ।
সমুদ্রের নীল জলরাশি ও সৈকতে আঁচড়ে পড়া ঢেউয়ের তালে তালে আন্দোলিত হয় পর্যটকদের মন। তাইতো বারবার ফিরে এসে প্রশান্তি খোঁজে লোনা পানির বালির চরে। পর্যটকদের থাকা ও পরিবেশনের কথা ভেবে সরকারি ও বেসরকারি ভাবে গড়ে তোলা হয়েছে প্রায় পাঁচশতাধিক হোটেল মোটেল জোন। রয়েছে পাঁচ তারকা হোটেল সহ পর্যাপ্ত পরিবেশ বান্ধব রেস্টুরেন্ট। রয়েছে আলাদা পুলিশিং সার্ভিস। পর্যটকদের কথা ভেবে মেগা প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। সাগরের নীল জলরাশি ছুঁয়ে গড়ে তোলা হয়েছে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর।
মৌসুমের শুরুতেই এবার উপচে পড়া ভীড় লক্ষ্য করা যাচ্ছে সমুদ্র সৈকতে। টানা চারদিন সরকারি বেসরকারি ছুঁটি পেয়ে এই সময়টাকে ভ্রমনের কাজে লাগাতে ভ্রমন পিপাসু মানুষজন পরিবার পরিজন ও বন্ধু-বান্ধব নিয়ে ছুটে এসেছে এ শহরেই। হোটেল-মোটেলে রুম বুকিং পাওয়া যেন স্বর্ণের হরিণ।
পর্যটকদের এহেন ভীড়ে দারুক উৎফুল্ল থাকে পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা। তাদের ব্যবসায়ের মূল মৌসুম এটিই। সেবা বিনিময়ের প্রতিযোগিতা চলে তাদের মাঝে। নিজেদের সর্বোচ্চ সেবা দিয়ে মন জয় করে নিজেকে টিকিয়ে রাখার প্রয়াস থাকে সকলের। বিনিময়ে যতটুকু আয় করা যায়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পর্যটন ব্যবসায়ি আনোয়ার হোছাইন জানানা: আমরা সারা বছর এই সময় গুলোর দিকে তাকিয়ে থাকি। কেননা এই সময়টাতে বছরের সর্বোচ্চ পর্যটকের আগমন ঘটে বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজারে। আমাদের সেবার মানটা ও সর্বোচ্চ রাখার চেষ্টা করি। যদিও কিছু প্রতিবন্ধকতা রয়েছে। সড়ক পথের উন্নতি এবং রেল যোগাযোগ ব্যবস্থার আরো বাড়ালে পর্যটকের সংখ্যা আরো অনেকগুণ বৃদ্ধি পাবে বলে আমি আশাবাদী।
ট্যুরিষ্ট পুলিশের কর্মকর্তা জানান: কোন পর্যটক প্রতারিত হলে আমরা দ্রুত প্রতিকারে ব্যবস্থা গ্রহন করি এবং আইনি সহায়তা প্রদান করি। আমি আশাবাদী দিনদিন পর্যটকের সংখ্যা আরো বৃদ্ধি পাবে। ইনশাআল্লাহ
ভ্রমনে আসা কুমিল্লা দেবিদ্বার উপজেলা নির্বাহী অফিসার নারগিস সুলতানা বলেন, দারুন উপভোগ করছি এবারের কক্সবাজারকে। যদিও হোটেল রুম অগ্রিম বুকিং করে রেখেছিলাম বলে বেগ পেতে হয়নি। এখানকার রেস্টুরেন্ট গুলোতে ফ্রেশ সামুদ্রিক মাছ পাওয়া যাচ্ছে। পরিবার নিয়ে আনন্দঘন সময় কাটানোর জন্য আসা। পরামর্শ থাকবে আগামীতে যারা আসবেন তারা যেন আসার আগেই রুম বুকিং দিয়েই আসেন তাহলে আর টেনশনে পড়বেনা এখানে এসে।