টেকনাফে ৩৬ ঘন্টার ব্যবধানে সিএনজি চালক সহ ফের ৮ জন অপহরণের শিকার
শামসুল আলম শারেক টেকনাফ ( কক্সবাজার)
কক্সবাজারের টেকনাফে ৩৬ ঘন্টার ব্যবধানে আবারো দুই সিএনজি চালক সহ ৮ জন কে অপহরণ করেছে অপহরণকারীরা। হোয়াইক্যং-শামলাপুর বাহার ছড়া সড়কে ঘটেছে এঘটনা।
তবে তাৎক্ষণিকভাবে অপহৃতদের নাম-ঠিকানা পাওয়া যায়নি।
মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) সকাল ৭ টার দিকে টেকনাফের হোয়াইক্যং -শামলাপুর সড়ক দিয়ে যাতায়ত কালে তাদের কে অপহরণ করেছে বলে বিষয়টি জানিয়েছেন শামলাপুর সড়কের সিএনজি (অটোরিকশার) পরিচালক মো. আবদুর রহিম।
তিনি বলেন, আজ মঙ্গলবার সকাল আনুমানিক ৮ টার দিকে হোয়াইক্যং থেকে আসা শামলাপুরগামী দু'টি সিএনজি (অটোরিকশা) হোয়াইক্যং-শামলাপুর সড়কের ঢালা থেকে ডাকাতদলের সদস্যরা সিএনজি চালক সহ আনুমানিক ৭ জনকে অপহরণ করেছে বলে জানা গেছে।
সে সঙ্গে ডাকাতদল সিএনজি ( অটোরিকশা'র) দুটির গ্লাস ভেঙে দেয়। এ ঘটনার খবর পেয়ে বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন বলে তিনি জানান। তবে অপহৃতদের নাম-ঠিকানা জানা যায়নি।
অপরদিকে স্থানীয় ছৈয়দ হোসেন মেম্বার বলেন, গতকাল সোমবার রাতে বাহারছড়া ইউনিয়নের বড় ডেইলের মুদির দোকানদার জসিম উদ্দিনকে ২০-২৫ জনের অস্ত্রধারী ডাকাতদল তার দোকান থেকে অস্ত্রের মুখে আটক করে পাহাড়ের দিকে নিয়ে গেছেন।
এ ব্যাপারে বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক শোভন কুমার শাহা বলেন, হোয়াইক্যং- শামলাপুর সড়কে দুইটি সিএনজি (অটোরিকশা) থেকে ড্রাইভার সহ যাত্রী অপহরণের ঘটনা শুনে আমরা তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে পৌঁছে অপহৃতদের উদ্ধারে চেষ্টা চালাচ্ছি। কতজন অপহরণ হলেন সেটার সঠিক তথ্য এখনো জানা যায়নি। সিএনজি দুইটি উদ্ধার করা হয়েছে।
এর আগে গত সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) সকালে টেকনাফের জাদিমুড়া পাহাড়ে বন বিভাগের কাজ করতে গিয়ে রোহিঙ্গা ও স্থানীয় শ্রমিক সহ ১৭ জন অপহরণের শিকার হয়েছেন।এখনো তাদেরকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। অপহৃত সবার কাছ থেকে মুক্তিপণ দাবি করা হচ্ছে বলে জানা গেছে।###