টেকনাফে গলায় ফাঁস লাগিয়ে যুবকের রহস্যজনক মৃত্যু, পুলিশের লাশ উদ্ধার
শামসুল আলম শারেক, টেকনাফ ( কক্সবাজার)
কক্সবাজার টেকনাফ বাহার ছড়া এলাকার মোহাম্মদ রাশেদ(২০) নামের এক যুবকের ঝুলন্ত অবস্থায় লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
নিহত যুবক বাহার ছড়া শামলাপুর পশ্চিম পাড়া এলাকার মৃত রশিদ আহমেদের ছেলে।
লাশটি উদ্ধার শেষে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মগে পাঠানো হয়েছে।
আজ বুধবার সকালে বাহারছড়া শামলাপুর বাজারের পশ্চিমে পেয়ারা গাছের ঢালের সাথে গলায় রশি প্যাঁচানো ঝুলন্ত অবস্থায় লাশটি উদ্ধার করা হয়েছে।
এ তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের পরিদর্শক শোভন কুমার সাহা।
পুলিশ ও এলাকাবাসীরা জানান, আজ সকালে নুর নাহার নামের এক নারী বাগানে সুপারি কুড়াতে গেলে গাছের ঢালে ঝুলন্ত অবস্থায় মোহাম্মদ রাশেদের লাশটি দেখতে পেয়ে চিৎকার করলে আশেপাশের লোকজন জড়ো হয়।
খবর পেয়ে তার আত্মীয় স্বজনরা ঘটনাস্থলের ছুটে আসেন পুলিশ খবর দেন। পুলিশ এসে তার শরীরে পোশাক, হাতের ঘড়ি, পকেটে ম্যানিব্যাগ ও মোবাইল ফোনসহ সবকিছুই ঠিকঠাক পাওয়া যায়।
এদিকে উপরে গাছের ডালের সাথে যে রশি বাঁধানো হয়েছে তার দূরত্বের সাথে নিচে মাটির দূরত্ব একেবারেই সমান এবং নিচে গড়াগড়ির এমন কিছু দৃশ্যমান আলামত দেখা যায়নি। এতে করে রহস্যের জন্ম দিয়েছে। পায়ের জুতা, গাঁয়ের পোশাক এবং জিহ্বা সামান্য কামড়ানো থাকলেও সবকিছুই প্রায় স্বাভাবিক। এমন অবস্থা দেখে সবাই অস্বাভাবিক মৃত্যু হতে পারে বলে ধারণা করেন।
তবে পুলিশ বলছে, ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে।
নিহতের বড় ভাবি সলেমা খাতুন বলেন, এই ঘটনার সঠিক তদন্ত দরকার, এটাকে স্বাভাবিক মৃত্যু বলে মনে হচ্ছে না। সেই অনেক শান্ত স্বভাবের ছেলে। আত্মহত্যার করার মতো ছেলে নয়। যারা এই কাজ করছে আল্লাহ যেন তাদের বিচার করে বলে সৃষ্টিকর্তার কাছে বিচারের প্রার্থনা করেন।
বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের পরিদর্শক শোভন কুমার সাহা বলেন,লাশটি উদ্ধার করা হয়েছে।প্রাথমিকভাবে ফাঁসি বলে ধারণা করা হয়, তার শরীরে বড় ধরনের কোন আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি, লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মগে পাঠানো হয়েছে এবং নিহতের মা ভাইকে আইনি পরামর্শ প্রদান করা হয়েছে।###