মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা ককসবাজার আগমন উপলক্ষে আপনি সহ রাষ্ট্র পুঞ্জের মহাসচিবকে শুভেচ্ছা ও
ককসবাজার বাসীর পক্ষ থেকে খোলা চিঠি।
১/ ককসবাজার জেলার টেকনাফ-উখিয়াই রোহিঙ্গাদের বসবাসে পরিবেশ দূষিত সহ অপহরণ,হত্যা,চাঁদাবাজি,
মাদক পাচার ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ড সহ বিভিন্ন সমস্যার মোকাবেলা করে আমরা দিনাতিপাত করছি।যা প্রতিনিয়ত সামাজিক মিডিয়াই প্রকাশিত হচ্ছে।তা থেকে উত্তরণের জন্য একমাত্র উপায় হচ্ছে রোহিঙ্গাদেরকে উখিয়া-টেকনাফ
সীমান্তবর্তী গণবসতি এলাকা থেকে দেশের অন্যান্য জেলায় স্হানান্তরিত করা/তাদের নিজ জম্নভূমি মায়ানমারে প্রত্যাবাসন করাই হলো একমাত্র সমস্যার সমাধান।
হয়তো,অন্যত্রে Migration,
নতুবা স্বদেশে Repatriation.
It is a latest Decision.for Rohingya refugees.
তারা সীমান্ত এলাকায় বসবাস করে মায়ানমারের সাথে
যোগাযোগ রেখে চুরি-ডাকাতির ইয়াবা মাদক পাচার সহ অবৈধ কাজে সর্বদা লিপ্ত থাকে।
বিশেষ করে উখিয়া-টেকনাফের পাহাড়ে অবস্হান করে চুরি-ডাকাতি অপহরণ সহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে জড়িত থাকার সুযোগ নিচ্ছে।
এমনকি একদিন এমনও হতে পারে যে তারা আমাদের
দেশের সার্বভৌম রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে সাধীনতা চেয়ে বিদ্রোহও করতে পারে।
সুতরাং সময় থাকতে আপনার শাসনামলে তাদেরকে মায়ানমারে ফিরিয়ে নেয়ার সার্বিক ব্যবস্হা করা সময়ের দাবী নতুবা সীমান্ত এলাকা থেকে দেশের অন্যত্র সরিয়ে নিতেই হবে।তারা অসুবিধা জনগোষ্ঠী যেহেতু মগের মুলুকে
জম্ন নিয়ে বড় হয়েছে,আইনকানুনেরতোয়াক্কা করেনা।রোহিঙ্গাদের নিয়ে আমাদের সার্বিক সমস্যার কথা জাতি সংঘ মহাসচিবকে অবহিত করে সমস্যার সমাধান খোঁজে বের করা সময়ের দাবি।
আমাদের প্রাণের দাবী যা চাইলে আপনি পারবেন।
২/: ককসবাজার দেশের বহুল পরিচিত একটি জেলা
যেখানে হতে যাচ্ছে আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর।রেলওয়ে ষ্টেশন,সাবমেরিন ক্যাবল,বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত,
প্রতি বছর দেশ-বিদেশের লক্ষ লক্ষ পর্যটকদের আনাগোনায় মুখরিত হচ্ছে ককসবাজার।লবন উৎপাদন
চিংড়ি মাছ,পান-সুপারি,সামুদ্রিক মাছ সম্পদের অন্যতম স্হান,টেকনাফ স্হল বন্দর,মাতার বাড়ি কয়লা বিদ্যুত উৎপাদন কেন্দ্র,টেকনাফে দেশের একমাত্র সৌর বিদ্যুত উৎপাদন কেন্দ্র,ককসবাজার,মহেষখালী,কুতুবদিয়া,
বায়ূবিদ্যুত উৎপাদন কেন্দ্র সহ প্রাকৃতি সম্পদের সমাহার।
এবং প্রতি বছরে সিংহ ভাগ রাজস্ব ককসবাজার থেকে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে যাচ্চে,কিন্তু পরিতাপের বিষয়
ইতোপূর্বেকার সরকার ককসবাজারে একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়/একটি প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়,কোনটিই প্রতিষ্টা করেনি,অথচ পরিবেশের দিক দিয়ে ককসবাজারে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্টা করার মতো যথেষ্ট জায়গা রয়েছে।
আশা করবো আপনি ককসবাজারে,
১টি আন্তর্জাতিক মানের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ও
১টি আন্তর্জাতিক মানের প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ও
১টি আন্তর্জাতিক মানের ৫০০ শয্যা বিশিষ্ট অধুনিক হাসপাতাল প্রতিষ্টা করে জাতির কাছে স্মরণীয় ও বরণীয়
হয়ে থাকবেন।
ককসবাজারে সমুদ্র বন্দর প্রতিষ্টা করা হলে কম খরচে সহজে আন্তর্জাতিক দুনিয়ার সাথে ব্যবসা বাণিজ্য করা যাবে।
**: সেন্টমার্টিন দ্বীপে/
সাবরাং Exclusive zone ও Sea port স্হাপন করা হলে মায়ানমার,থাইল্যান্ড,মালয়েশিয়া সিংগাপুর,সহ দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার আসিয়ানভুক্ত দেশের সাথে কম খরচে সহজে ব্যবসা করা যাবেই।
পবিত্র মাহে রমজানে শত কর্ম ব্যস্তার মাঝেও এ বয়সে কষ্ট
করে ককসবাজার সফরে আসার জন্য আপনাকে আবার শুভেচ্ছা সহ সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘ হায়াতে তায়েবা কামন করছি।
শুভকামনায়:-
অধ্যাপক কবির ছিদ্দিকী।
ধর্মবিষয়ক সম্পাদক
ককসবাজার জেলা প্রেসক্লাব।
১৪/০৩/২০২৫.