
গাজায় দখলদার ইসরায়েলি বাহিনীর নৃশংস গণহত্যার প্রতিবাদে শহর জামায়াতের বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত
এম ইউ বাহদুর
ফিলিস্তিনের গাজায় দখলদার ইসরায়েলি বাহিনীর নৃশংস গণহত্যা ও মানবিক বিপর্যয়ের প্রতিবাদে ‘গ্লোবাল স্ট্রাইক ফর গাজা’-এর সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করে শহর জামায়াতের উদ্যেগে বিক্ষোভ ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বিকেল থেকে সর্বস্তরের মুসলিম জনতা রাস্তায় নেমে আসেন। ব্যানার-ফেস্টুন হাতে তারা ইসরায়েলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে স্লোগান দেন। বিক্ষোভ মিছিলে অংশ নেন বিভিন্ন পেশার মানুষ।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, ইসরায়েল গাজা ও রাফা সীমান্তে গুলি ও বোমা বর্ষণ করে ফিলিস্তিনিদের হত্যা করছে, যা মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন। পশ্চিমা বিশ্ব একদিকে মানবতার কথা বললেও, অন্যদিকে ফিলিস্তিনে এই নিপীড়নের বিরুদ্ধে তারা নিরব ভূমিকা পালন করছে।
বক্তারা অবিলম্বে ইসরায়েলি গণহত্যা বন্ধের আহ্বান জানান। পাশাপাশি সমস্ত পশ্চিমা পণ্য আজ থেকে বয়কোটের ঘোষণা করা হয় এ সমাবেশ থেকে।
ইসরায়েলি আগ্রাসনে ফিলিস্তিনের গাজায় প্রতিনিয়ত হাজার হাজার মানুষ হত্যার শিকার হচ্ছে। তাদের বর্বরতা থেকে নারী-শিশু কেউ রেহাই পাচ্ছে না। অনবরত বোমার আঘাতের মসজিদ-মাদরাসা, হাসপাতাল, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুঁড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। অথচ বিশ্ব মানবতা তার দিকে কোনো নজর দিচ্ছে না। তাদের নিরব ভূমিকার কারণে প্রতিনিয়ত হামলার মাত্রা তীব্র হচ্ছে।
বাদে আছর জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে শহরের বড় বাজার মসজিদ থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে ঝাউতলায় গিয়ে বিক্ষোভ সমাবেশের মধ্যে দিয়ে শেষ হয়।
শহর আমীর আবদুল্লাহ আল ফারুকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাখেন জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি জাহেদুল ইসলাম।
শহর সেক্রেটারি রিয়াজ মুহাম্মদ শাকিলের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন জেলা এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি অধ্যাপক আবু তাহের চৌধুরী ও শহর শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি আমিনুল ইসলাম হাসান।
সমাবেশে আরো উপস্থিত ছিলেন, কক্সবাজার -৩ আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী ভিপি শহিদুল আলম বাহাদুর
জেলা এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসাইন, সাংগঠনিক সম্পাদক আল আমিন মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম, জেলা অফিস সম্পাদক এড. মোহাম্মদ শাহজাহান, শহর নায়েবে আমীর কফিল উদ্দিন চৌধুরী, এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি দরবেশ আলী মোহাম্মদ আরমান, সাংগঠনিক সম্পাদক মাও: আবদুর রশিদ, মো: শহীদুল্লাহ ও কামরুল হাসান, জেলা শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সাংগঠনিক সম্পাদক এমইউ বাহাদুর।
প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তারা গাজায় চলমান মুসলিম গণহত্যার বন্ধের দাবি জানিয়ে বলেন, ফিলিস্তিন বিশ্বের মুসলমানদের কাছে একটি পবিত্রস্থান। সেখানে রয়েছে মুসলমানদের প্রথম কিবলা মসজিদুল আকসা। কিন্তু ইসরায়েলি হায়নারা দীর্ঘ দিন ধরে সেখানকার মুসলমানদের ওপর বর্বরচিত হামলা চালিয়ে মুসলমানদের হত্যা করছে। তাদের এ হামলা থেকে নারী-শিশুসহ সেখানকার জরুরি সেবা দেওয়া সংস্থাগুলো বাদ যাচ্ছে না।
ফিলিস্তিনে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে ইসরায়েল যে ধ্বংসযজ্ঞ ও গণহত্যা চালাচ্ছে, তা ইতিহাসের অন্যতম নিকৃষ্ট মানবাধিকার লঙ্ঘন। এই পরিস্থিতিতে জাতিসংঘ, আইসি এবং আরব লীগের নীরব ভূমিকা অত্যন্ত হতাশাজনক। বিক্ষোভ মিছিল থেকে ইসরায়েলের বর্বরোচিত হামলার প্রতিবাদে বিভিন্ন স্লোগান দেওয়া হয়।
ইসরায়েল কর্তৃক ফিলিস্তিনি মুসলমানদের ওপর যে নির্যাতন, অত্যাচার, জুলুম ও গণহত্যা বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত তাদের আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।
গজায় গণহত্যা বন্ধের দাবি এবং ইসরায়েলি পণ্য বর্জনে সবাইকে আহ্বান জানানো হয় সমাবেশ থেকে। বাংলাদেশি জনগণের পক্ষে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সোচ্চার ভূমিকা রাখারও অনুরোধ করেন।
এসময় ইসরায়েলবিরোধী স্লোগানে মুখরিত হয় পুরো শহর।