
টেকনাফে চাহিদার অতিরিক্ত লবণ আমদানী,দেশীয় উৎপাদিত লবণ শিল্পধ্বংশের বির প্রতিবাদে সভা অনুষ্ঠিত
শামসুল আলম শারেক,টেকনাফ ( কক্সবাজার)।
ইন্ডাস্ট্রিয়াল লবণের নাম দিয়ে চাহিদার অতিরিক্ত লবণ আমদানী করে মিল মালিক সিন্ডিকেট দেশীয় উৎপাদিত লবণ শিল্প ধ্বংশের পাঁয়তারার বিরুদ্ধে হ্নীলা ও হোয়াইক্যংয়ের লবণব্যবসায়ী সংগ্রাম পরিষদ, ব্যবসায়ী,ও জমির মালিকদের এক যৌথ প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
১৪ এপ্রিল বিকেল ৫ টায় হ্নীলা বাসস্টেশনের সোলাইমান মার্কেট চত্ত্বরে হ্নীলা ইউনিয়ন লবণ ব্যবসায়ী সমিতির সিনিয়র সহ সভাপতি নাজির হোসাইনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক হোসাইন আহমদ আনিমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত হয়েছে।এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন কক্সবাজার জেলা লবণ চাষী ও ব্যবসায়ী মালিক সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি জামিল ইব্রাহিম চৌধুরী।বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কক্সবাজার জেলা লবণচাষী ও ব্যবসায়ী সংগ্রাম পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মিজানুররহমান চৌধুরী খোকন, প্রধান বক্তার বক্তব্যরাখেন টেকনাফ উপজেলা লবণচাষী ও ব্যবসায়ী সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ,এডভোকেট শহিদুল্লাহ,জাফর আলম মেম্বার ও লবণব্যবসায়ী নেতা আব্দুল গফফার সহ অসংখ্য ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ, উৎপাদন কারীও জমির মালিক বৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এসময় বক্তারা বলেন দেশের চাহিদার ৯৫ শতাংশ লবণ কক্সবাজার জেলা থেকে যোগান দেয়াহয়, কিছু সিন্ডিকেট ব্যবসায়ী লবণ মিল মালিক কর্তৃপক্ষ ঢাকায় বসে বসে নিজেদের পকেট ভারী করার জন্য আমদানীর নামে চাহিদার অতিরিক্ত লবণ বিদেশ থেকে আমদানী করে দেশীয় উৎপাদিত লবণের মূল্য শূন্যের কোটায় নিয়ে এসেছে। তারা দেশীয় উৎপাদিত লবণ শিল্প ধব্বংস করতে বর্তমান সরকারের মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা ড.মুহাম্মাদ ইউনুছ যখন কক্সবাজার এসেছিলেন তখন দেশীয় লবণ শিল্পের ব্যাপারে কিছু সিন্ডিকেট ব্যবসায়ী অপব্যাখ্যা দিয়ে বুঝিয়ে দেশের উৎপাদিত লবণ শিল্পের ধব্বংস ডেকে এনেছে। এতে করে দেশীয় লবণচাষীরা লবণের ন্যায্য মূল্য নাপেয়ে মাথায় হাত পড়েছে এবং লবণ উৎপাদন বিমূখ হচ্ছে চাষীরা।এব্যাপারে সরকারের গোয়েন্দা সংস্থা ও নীতি নির্ধারনী কর্তৃপক্ষের কাছে সকল ষড়যন্ত্র চিন্হিত করে লবণের ন্যায্যমূল্য নির্ধারণ করার মধ্যদিয়ে দেশীয় লবণ শিল্প বাঁচিয়ে রাখার জোরদাবী জানিয়েছেন। অন্যথায় তারা কক্সবাজার জেলা থেকে৷ দূর্বার আন্দোলনের ডাক দিবেন বলে হুশিয়ারী উচ্চারণ করেছেন নেতৃবৃন্দ।###