
টেকনাফের হ্নীলায় সন্ত্রাসী কায়দায় আপন বোনের ফসলী গাছ কেটে সাবাড় করেছে বড়ভাই
শামসুল আলম শারেক, টেকনাফ ( কক্সবাজার)
টেকনাফের হ্নীলায় আপন ছোট বোন মাবিয়ার রুপিত প্রায় ৩ শতাধিক বিভিন্ন ফলজ ও সবজি গাছের চারা সন্ত্রাসী কায়দায় কেটে সাবাড় করার অভিযোগ উঠেছে বড় ভাই ফরিদের বিরুদ্ধে।
২৪ এপ্রিল বৃহস্পতিবার ভোরে হ্নীলা ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ড বড় লেচুয়াপ্রাং এলাকায় ঘটেছে এঘটনা।
সরেজমিনে গিয়ে এলাকা বাসী অনেকের সাথে কথা বলে জানাগেছে,ওই এলাকার মৃত,খুইল্যা মিয়ার ছেলে ফরিদ আলম ও মাবিয়া খাতুন তারা দুই জনই আপন সহোদর ভাই / বোন।
বাবা মারা যাওয়ার পর থেকে তাদের মধ্যে জমি জমা ভাগ ভাটোয়ারা নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে বিরোধ চলে আসতেছে। এটা কে পুঁজি করে ফরিদ এলাকার সান্ত্রাসী,ডাকাত,ও আওয়ামী দোসর হিসেবে পরিচিত এবং
প্রভাব খাটিয়ে দীর্ঘ দিন তার পিতার নামীয় দলিলি জমি কুক্ষিগত করে অপরাপর আত্নীয় স্বজন কে বঞ্চিত করে পুরোনো সন্ত্রাসী কায়দায় নিজে জোরপূর্বক ভোগ দখল করছে।পিতার মিরাজী সম্পত্তিতে অপরাপর আত্নীয় স্বজন চাষাবাদ করতে চাইলে সে কোন আইন কানুনের তোয়াক্কা না করে ফসলী জমির রুপিত চারা গুলো বার বার কেটে সাবাড় করে প্রায় ৮০ হাজার টাকামত ক্ষতি সাধন করে।
যা নিয়ে মাবিয়া খাতুন বাদী হয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান বরাবরে লিখিত অভিযোগ দেয়। ইতিপূর্বে ও গত ৮ এপ্রিল অপর আত্নীয় টমটম চালক রবিউল আলমের মালিকানাধীন চাষাবাদের প্রায়ই ১ লক্ষাধিক টাকা মূল্যমানের বিভিন্ন ফলজ ও সবজি চারা কেটে সাবাড় করেছিল এবং ক্ষেত থেকে ৫ বছরের শিশু ছেলে তাহসিন কে তুলে নিয়ে অপহরণ পূর্বক পাহাড়ি আস্তানায় নিয়ে মারধর পূর্বক লাশ ঘুম করার অপচেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হয়। ফরিদ আলম মূলত একজন চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও ডাকাত সে একই গ্রামের রফিক মুন্সীর বাড়ি ডাকাতি যার টেকনাফ থানার মামলা নং০৪/৮৯ তারিখ ০৭/০৭/২০০৪ ইং সহ আরো একাধিক অস্ত্র ও ডাকাতি মামলার আসামী। তার সাথে এলাকার কোন মানুষের ভাল সম্পর্ক নেই বলে জানিয়েছেন উপস্থিত এলাকাবাসী। তার বিরুদ্ধে যৌথবাহিনির অভিযান দাবী করছে এলাকাবাসী।
এঘটনায় অভিযুক্ত ফরিদ আলমের বক্তব্য নিতে সরেজমিন তার বাড়িতে গেলে প্রথমে দরজা বন্ধ পায়,পরে তাকে ডেকে বক্তব্য নিতে চাইলে সে মোবাইল রেকর্ড দিতে অনীহা প্রকাশ করে,পরে মৌখিক ভাবে চারা গাছ গুলো কাটার কথা স্বীকার করলেও জমি তার দাবী করে।###