২৩শে মে, ২০২৫, ২৪শে জিলকদ, ১৪৪৬
সর্বশেষ
টেকনাফে কোস্ট গার্ড ও পুলিশের যৌথ অভিযানে   দেশী বিদেশি ৬ টি অস্ত্র,২ টি ম্যাগাজিনসহ ৯৭৫ রাউন্ড তাজা গুলি উদ্ধার
যাদের জন্য কুরবানি ওয়াজিব
বিএনপির জন্ম না হলে দেশে বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবর্তন হত না: সালাহউদ্দিন আহমদ
টেকনাফে অস্ত্র ইয়াবাসহ আটক ৩
এক সপ্তাহের আলটিমেটাম দিলেন বিএনপি হাসনাত আব্দুল্লাহকে
কক্সবাজার সাংবাদিক ইউনিয়নের নির্বাচনে ভোট গ্রহণের উপর স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার
প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে দেশের সমুদ্র উপকূলও তীরবর্তী এলাকাগুলোতে বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের গৌরবগাঁথা সাফল্য
চকরিয়ায় একাধিক মামলার আসামি যুবলীগ নেতা গ্রেপ্তার
নেপালকে হারিয়ে ফাইনালে বাংলাদেশ
ইসলামী জীবন ব্যবস্থায় রয়েছে বৈষম্যহীন সমাজের রূপরেখা: অধ্যক্ষ মাওলানা নুর আহমদ আনোয়ারী
বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির টেকনাফ উপজেলা সাবরাং ইউনিয়নের সেরা মেধাবী শিক্ষার্থী সংবর্ধনা”২৫ অনুষ্ঠিত
সাবেক মন্ত্রী উবায়দুল মোকতাদির ও তার স্ত্রীর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
ভারতে কারাভোগ শেষে আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে দেশে ফিরলেন ১১ বাংলাদেশি
নীলফামারীর ডোমারে প্রিপেইড মিটার স্থাপনের প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ
নওগাঁয় ২২মে থেকে আম নামানো শুরু

সুন্দরবনে পুশইন ৭৫ জনকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর, তিনজন কারাগারে

সুন্দরবনে পুশইন ৭৫ জনকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর, তিনজন কারাগারে

এম জালাল উদ্দীন(খুলনা)প্রতিনিধি

ভারতের গুজরাট রাজ্যের বিভিন্ন বস্তি থেকে তুলে এনে সীমান্ত পথে বাংলাদেশে পুশইন করা ৭৮ জনের মধ্যে ৭৫ বাংলাদেশি নাগরিককে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। অপরদিকে ভারতীয় হিসেবে পরিচয় দেওয়া তিনজনকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৩ মে) সকালে সাতক্ষীরার শ্যামনগর থানা চত্বরে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান কোস্টগার্ড পশ্চিম জোনের অপারেশন কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার আবরার হাসান।

তিনি জানান, ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) ও তাদের নৌবাহিনী ৭৮ জনকে অবৈধভাবে সুন্দরবনের মান্দারবাড়িয়া এলাকার এক চরে ছেড়ে যায়। পরে বনবিভাগের সহায়তায় কোস্টগার্ড তাদের উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসা ও খাদ্য সহায়তা দেয়।

উদ্ধারকৃতদের মধ্যে ৭৫ জন বাংলাদেশের নাগরিক, আর বাকি তিনজন নিজেদের ভারতীয় বলে দাবি করেছেন, তাদের কাছে কোনো বৈধ ভারতীয় পরিচয়পত্র নেই।

পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, ভারতীয় দাবি করা তিনজনের পরিবার মূলত বাংলাদেশি হলেও তারা গুজরাটে জন্মগ্রহণ করেন। তাদের মধ্যে রয়েছে খুলনার বটিয়াঘাটা উপজেলার আব্দুর রহমান (২০), নড়াইলের মো. হাসান শাহ (২৪) ও সাইফুল শেখ (১৯)। তিনজনকেই শ্যামনগর থানায় মামলা দিয়ে সোমবার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

সাতক্ষীরা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম বলেন, তাদের বিষয়ে তদন্ত করে যদি প্রমাণ মেলে যে তারা বাংলাদেশি, তাহলে যথাযথ আইনানুগ পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

পুশইন হওয়া ব্যক্তিদের ভাষ্যমতে, তারা গুজরাটের আহমেদাবাদ ও সুরাট শহরের বিভিন্ন বস্তিতে বসবাস করতেন এবং খেটে খাওয়া শ্রমজীবী মানুষ ছিলেন। ২৬ এপ্রিল ভারতীয় প্রশাসন তাদের বস্তিগুলো বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেয়। এরপর পরিবারের সদস্যদের সামনে থেকে তাদের ধরে নিয়ে যাওয়া হয়। পুলিশ ক্যাম্পে কয়েকদিন আটকে রেখে হাত-পা ও চোখ বেঁধে বিমান এবং জাহাজে করে বাংলাদেশ সীমান্তে ফেলে দেয়।

তারা আরও জানান, এসময় তাদের খাবার দেওয়া হয়নি, শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালানো হয়েছে এবং ধর্মীয় অবমাননাসূচক আচরণ করা হয়েছে। এমনকি এখনো তারা তাদের স্ত্রী-সন্তানদের অবস্থান সম্পর্কে কিছুই জানেন না।

উদ্ধার ৭৫ জনের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ৬৭ জনের বাড়ি নড়াইল জেলার বিভিন্ন গ্রামে। এছাড়া খুলনা জেলার ৬ জন, যশোর জেলার ২ জন, এবং সাতক্ষীরা, ঢাকা ও বরিশাল জেলার একজন করে আছেন। এদের মধ্যে ৭০ জন আহমেদাবাদের বস্তিতে এবং ৮ জন গুজরাটে অবস্থান করতেন বলে জানা গেছে।

শেয়ার করুনঃ